ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয় এর অর্থ ও ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত
মহান আল্লাহ তাআলার যে কত নাম রয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই। আল্লাহ তায়ালাকে তার নাম ধরে ডাকলে তিনি অনেক বেশি খুশি হন। এই নাম গুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম আছে ইয়া বাসিতু। এই কারণে ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয় ইয়া বাসিতু অর্থ কি ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত সম্পর্কে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনারা সকলেই জানেন আল্লাহ তাআলার যে সমস্ত গুণবাচক নাম রয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটি অনেক চমৎকার এবং আকর্ষণীয়। তবে তার যতগুলো গুণবাচক নাম রয়েছে সেগুলোর আলাদা আলাদা অর্থ এবং আলাদা আলাদা ফজিলত রয়েছে।
ঠিক এই কারণে ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত রয়েছে এবং ইয়া বাসিতু অর্থ কি সেটাও সঠিকভাবেই রয়েছে।
তো যেহেতু নাম কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেকে নামটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায় তাই আজকের পোস্ট পড়লে আপনারা ইয়া বাসিতু অর্থ কি ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয় এবং ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত সম্পর্কে খুব সহজভাবে সবকিছু জানতে পারবেন।
ইয়া বাসিতু অর্থ কি
যেহেতু আল্লাহ তাআলার অসংখ্য গুনবাচক নাম গুলোর আলাদা আলাদা অসংখ্য অর্থ রয়েছে ঠিক এইভাবে ইয়া বাসিতু নামের ও অর্থ রয়েছে ।
তুই ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয় সেটা সম্পর্কে জানার আগে আমরা ইয়া বাসিতু অর্থ কি সেটা নিয়ে বিস্তারিত জানব। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে ইয়া বাসিতু অর্থ কি সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেই।
ইয়া বাসিতু এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে রিজিক প্রশস্তিকারী। যেহেতু সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং সবকিছুর মালিক আল্লাহ তাআলা এবং তিনিই সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে তাই তার এই নিয়ন্ত্রণ এর উপর ভিত্তি করে তার বিভিন্ন ধরনের আলাদা আলাদা নাম রয়েছে।
যেমন তিনি যেহেতু রহম করে তাই তার নাম আর রহিমু। আবার তিনি যেহেতু মানুষকে রিজিক প্রদান করে তাই তার নাম আর রাজ্জাকু। এইভাবে মহান আল্লাহতায়ালার অসংখ্য গুনবাচক নাম রয়েছে এবং সেগুলোর অর্থ তার একটি একটি করে কাজ।
তো এই ইয়া বাসিত নামের অর্থটি মূলত রিজিক প্রশস্ত কারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যে আমাদের রিজিকগুলোকে অনেক বাড়িয়ে দেয় বা আমরা কম কাজ করে বেশি ফলাফল পাই সেটা এখানে বোঝানো হয়েছে।
আশা করি আপনারা ইয়া বাসিতু অর্থ কি এবং সে সম্পর্কে খুব সহজভাবে বিস্তারিত জেনে গেছেন।
ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয়
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসে যে ইয়া বাসিতু করলে কি হয়। যার কারণে প্রতিমাসে অসংখ্য মানুষ google এ বিষয়টিকে সার্চ করে থাকে।
এই কারণে পোষ্টের মধ্যে এই ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয় সেটাও খুব সুন্দর ভাবে এখন আমরা বর্ণনা করব। চলুন তাহলে ইয়া বসিতু পড়লে কি হয় সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
তো এই ইয়া বাসিতু এর অনেক ফজিলত বিভিন্ন বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়। আবার ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয় সেটাও অনেক আলোচনা থেকে আমরা সংগ্রহ করে আজকের পোস্টে উল্লেখ করেছি।
✓ আল্লাহ তায়ালার যেকোন নাম ধরে ডাকলে তিনি সর্বপ্রথম অনেক বেশি খুশি হয়। আবার যদি আমরা আল্লাহ তায়ালাকে আল্লাহু আকবার বলে ডাকি তাহলে তিনি সব থেকে বেশি আনন্দিত হয়।
✓ যদিও পৃথিবীর কেউ যদি আল্লাহ তায়ালা কে কোন নাম ধরে না ডাকে তারপরও আল্লাহ তাআলার কোন ক্ষতি হবে না তবে যদি আমরা নাম ধরে ডাকি তাহলে তিনি অনেক খুশি হয় এবং আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে।
✓ আমরা আল্লাহ তালাকে কোন নাম ধরে ডাকার পরে আল্লাহ তা’আলা আমাদের সাথে ওইটা করে যেটা সেই নামের অর্থ হয়। অর্থাৎ আমরা যদি তাআলাকে ইয়া রাজ্জাকু বলে ডাকি, তিনি আমাদেরকে রিজিক দান করবেন।।
✓ তো ইয়া বাসীতু নামের অর্থ যেহেতু রিজিক প্রশস্তকারী এই কারণে আমরা যদি এই নামটা নিয়মিত পড়ি এবং নাম ধরে আল্লাহকে ডাকি তাহলে আমাদের প্রতিনিয়ত যে রিযিক রয়েছে সেটা অনেক বৃদ্ধি পাবে।
আশা করি ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয় সেটা খুব সহজভাবে আপনার জেনে গেছেন। এছাড়াও এই নামটি বললে আরো অনেক ফজিলত পাওয়া যায় সেটা পরের পয়েন্টে আপনারা ভালোভাবে জানতে পারবেন।
ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত বা ইয়া বাসিতু এর ফজিলত
ইয়া বাসিতু আল্লাহতালার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণবাচক নাম। যদিও আল্লাহ তাআলার প্রত্যেকটি নামেরই ফজিলত এবং রহমত রয়েছে তারপরও ইয়া বাসিতু নামের আলাদা একটু ফজিলত আছে।
আল্লাহ তাআলার যেকোনো নাম ধরে জিকির করলেই তিনি খুশি হয়ে যান এবং বান্দাদের প্রতি অনেক বেশি সন্তুষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু আমরা সবাই তার অন্যান্য নাম ধরে ডাকতে পছন্দ করি।
তারপরেও নিচে আমরা ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত সম্পর্কে দুইটি কথা আপনাদেরকে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিলাম ।
আপনারা যে কোন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার নাম জিকির করতে পারবেন বা তাকে ডাকতে পারবেন। কিন্তু ইয়া বাসিতু নামটি বিশেষ স্থানে জিকির করলে আলাদা ফজিলত পাওয়া যায়।
✓ যদি কোন ব্যক্তি চাশতের নামাজ আদায় করার পরে আসমানের দিকে হাত তুলে এবং এই আল্লাহ তায়ালার ইয়া বাসিতু নামটি দশবার পাঠ করে এবং তারপর তার হাত দুটিকে মুখ মন্ডলে বুলিয়ে নেয়। তাহলে বিভিন্ন বর্ণনা থেকে পাওয়া যায় যে ওই ব্যক্তির অভাব অনটন দূর হবে এবং ধনী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ।
যেহেতু নামটির অর্থ রিজিক প্রসস্তকারী । তাই এটি ধরে ডাকলে ওই ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি রিজিক প্রদান করবে এবং তার ধন সম্পদএও বরকত দান করবে।
তাই যদি আপনার সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকে বা অনেক অশান্তি থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালার এই নাম ধরে জপ করবেন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তা’আলা আপনার সমস্যা সমাধান করে দেবে।
✓ এই ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত এর মধ্যে আরও একটি বিশেষ ফজিলত বর্ণিত আছে। এটি ও সংসারে স্বামী স্ত্রীর সাথে সম্পর্কিত। তো কিভাবে ইয়া বাসিতু পরলে আপনারা ফজিলত পেতে পারেন সেটা এখন বর্ণনা করা হবে।
আর হ্যাঁ আপনি যদি একজন মেয়ে মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে বিষয়টি পড়বেন।
আপনি একজন মেয়ে মানুষ হয়ে থাকলে আর আপনার ঘরের স্বামী যদি খুবই বদমেজাজি হয় বা আপনার উপর সবসময় রেগে থাকে তাহলে আপনি ইয়া বাসিতু আল্লাহর নামটির মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধান করে ফেলতে পারবেন।
এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ইয়া বাসিতু নামটি ৩০০ বার পড়তে হবে। তবে হ্যাঁ নামটি পড়ার আগে অবশ্যই আপনার শরীর ভালোভাবে পাক করে নিতে হবে এবং অজু করে নিলে আরো ভালো হয়।
নামটি ৩০০ বার পরার পরে আপনি পরিষ্কার এক গ্লাস পানি নিবেন এবং সেটার মধ্যে আল্লাহর ওয়াস্তে ফুঁ দিয়ে দিবেন। ফু দেওয়ার পর সেই পানির গ্লাস টি আপনার ওই বদমেজাজি স্বামীকে সুন্দরভাবে খাওয়ায়ে দিবেন।
এইভাবে আপনারা মোট তিন দিন ইয়া বাসিতু আল্লাহর নামটি পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খালেস নিয়তে যদি আপনার বড় মেজাজি স্বামীকে খাওয়াতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ তার মেজাজ ঠিক হয়ে যাবে এবং আপনি খুব তাড়াতাড়ি এর সুফল দেখতে পারবেন।
উপরে আমরা মোট দুইটি ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত বর্ণনা করেছে। এগুলো আমরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগ্রহ করে পোস্টে আপনাদের জন্য ভালোভাবে সহজ ভাষায় লিখে দিয়েছি।
যাতে আপনারা বিষয়গুলো খুব সহজেই বুঝতে পারেন এজন্য আমরা পোস্টে সবসময় সাবলীল বাংলা ভাষা ব্যবহার করে পোস্ট লিখে থাকে।
পরিশেষে
বারবার বলেছি আল্লাহ তাআলার যেকোন নাম ধরে ডাকলে তিনি খুশি হয় এবং বান্দার মনের আশা পূরণ করে। আর এর মধ্যে সবথেকে ভালো নাম এবং আলো যেটা বললে সব থেকে বেশি খুশি হয় সেটা হচ্ছে আল্লাহু আকবার।
যদি আপনি আল্লাহ তাআলার কোন নামই না জানেন শুধুমাত্র আল্লাহু আকবার বলে আল্লাহকে ডাকতে থাকেন তাহলেই আল্লাহ আপনার উপর খুশি হয়ে যাবে। আর তিনি যদি কোনো বান্দার উপর খুশি হয়ে যায় তাহলে ওই বান্দার আর কোন অভাব অনটন বা অশান্তি থাকে না।
যাইহোক ইয়া বাসিতু নামটিও আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ গুণবাচক নাম। যার কারণে আজকের পোস্টে আমরা ইয়া বাসিতু অর্থ কি এবং ইয়া বাসিতু নামের ফজিলত সহ ইয়া বাসিতু পড়লে কি হয় সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছে।
এরপরও যদি আপনারা এই ইয়া বাসিত আল্লাহর নামটি সম্পর্কে কোন কিছু জানতে চান তাহলে সেটা কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন আর হ্যাঁ আপনার বিবাহিত মেয়ে বন্ধুর স্বামী যদি বদ মেজাজি হয়ে থাকে, তাহলে তার সাথে অবশ্যই পোস্ট টি শেয়ার করবেন।