সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক ও অপব্যবহার
আসসালামু আলাইকুম আপনি কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিকগুলো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান?
আমাদের প্রত্যেকের এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানা আবশ্যক। আজকের এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা খুব সহজে এবং সহজ ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার এবং এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর ভালো দিক এবং খারাপ দিক দুটোই আছে। আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে ভালো কাজ করেন তাহলে এর থেকে খুব ভালো উপকার পাবেন। কিন্তু যদি আপনার খারাপ কাজগুলো করে থাকেন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিকগুলো প্রতিফলিত হবে।
যেহেতু বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক আলোচিত একটি টপিক এবং প্রত্যেকে প্রায় এটি ব্যবহার করে থাকে তাই আমাদেরকে অবশ্যই এর ক্ষতি কর দিক এবং অপব্যবহার গুলো খুব ভালো মতো জেনে রাখতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক
মুদ্রার দুইটি পৃষ্ঠা থাকে। একইভাবে এই সৃষ্টি জগতের যা কিছু আছে সব কিছুরই খারাপ দিক এবং ভালো দিক বা দুইটা পৃষ্ঠা আছে। তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্টারনেট এর ও খারাপ দিক রয়েছে।
আপনারা চাইলে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা গুলো ও পড়ে নিতে পারেন। কিন্তু এখন প্রথমে আমরা আপনাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষতিকর দিকগুলো জানাবো । এরপরে গিয়ে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে অবগত করব।
সময় নষ্ট করে
পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ ব্যক্তি এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সম্পর্কিত। অনেক মানুষ আছে যারা তাদের নিজেদের কাজের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আবার অনেক মানুষ আছে যারা শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য এখানে এসে থাকে।
যদি সময় কাটানোর জন্য খুব অল্প সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করা তাহলে সেটা ভালো। কিন্তু অনেকে আছে যারা দিনের বেশিরভাগ সময়ে এখানে শুধুমাত্র সময় নষ্ট করে।
যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না তখন মানুষ বাইরে গিয়ে কাজ করে এই সময়গুলো ব্যয় করত। কিন্তু ইন্টারনেট আসার পর থেকে এখানে এসে মানুষ তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো নষ্ট করছে।
এছাড়াও অনেকে ছেলেমেয়ে আছে যারা নিজেদের ভালো ভালো সময় কাটানো ছেড়ে এখানে এসে অনেক বাজে কাজ করে থাকে বা তাদের সময় গুলো এমনিতে এমনিতে নষ্ট করে ফেলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে এই সময় নষ্ট করা অনেক বড় একটি ক্ষতিকর দিক।
পড়াশুনা নষ্ট করে
কিশোর বা যুবকদের বর্তমানে পড়ালেখা করার সময় তারা যদি এই সময়টাকে পড়াশুনা না করে অন্য কাজে ব্যয় করে তাহলে ভবিষ্যতে তাদের জন্য দুঃখ অপেক্ষা করছে।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া আসার ফলে যুবকরা এখানে তাদের পড়াশুনা বাদ দিয়ে এসে আড্ডা দিচ্ছে। আর এই আড্ডা দেওয়ার ফলে তাদের এমনিতে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে আবার যাতে সময় গুলো অনেক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে ছেলেমেয়েরা রেজাল্ট খারাপ করার পিছনে সব থেকে বেশি দায়ী করা হয় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কে।
মানসিকভাবে কষ্ট পায়
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার এমন কিছু বন্ধু থাকতে পারে যারা শুধুমাত্র নিজেদের খুশির সময়কে ফেসবুকে শেয়ার করে থাকে। আর এগুলো দেখে অনেক মানুষ ভাবে যে তারা খুব সুখে আছে এবং নিজেরা অনেক দুঃখে আছে।
আর যারা এই ভাবনা ভেবে থাকে তারাই নিজেরা মানসিকভাবে অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুধুমাত্র মানুষ তাদের ভালো সময় টাই শেয়ার করে কেউ খারাপ সময় শেয়ার করে না।
তাই এগুলো দেখে কখনোই নিজের মনের মধ্যে কষ্ট পাওয়া যাবে না। এগুলো দেখে কষ্ট পেয়ে অনেকেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং উল্টাপাল্টা কাজ করে বসে যেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক।
প্রেম প্রীতি করে
এখনকার ছেলে মেয়েরা ছোট বয়সে অনেক বেশি পেকে যায়। আর এর ফলে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে অনেক সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।
যদি কেউ অল্প বয়সে এই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে জীবনে তার অনেক খারাপ যাবে বা তার জীবনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার ফলে অচেনা অনেক মানুষের সাথে বেশি যোগাযোগ হচ্ছে এবং এই কারণেই ছেলেমেয়েরা প্রেম প্রিতে জড়িয়ে পড়ছে।
এই অল্প বয়সে প্রেমে জড়িয়ে পড়ার কারণে তাদের পড়াশুনা নষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য সেটা হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খারাপ বিষয় দেখা
আমরা জানি ফেসবুকে কিংবা এই ধরনের মিডিয়াগুলোতে ভালো জিনিসও দেখা যায় আবার খারাপ জিনিসও দেখা যায়।
কিন্তু এখানে মানুষ খারাপ জিনিস ওই দেখার জন্য বেশি যায়। আর যে সকল ছেলেমেয়েরা খারাপ জিনিস বেশি দেখে তাদের মানসিক বিকাশে অনেকটা সমস্যা হয়ে যায়।
এই কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনেকে খারাপ জিনিস গুলো দেখে নিজেদের মধ্যে খারাপ চিন্তা ভাবনাও জাগিয়ে তুলছে।
উপরের এগুলো ছিল মূলত সাধারণ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক। এগুলো ছাড়াও আরো অসংখ্য ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে হচ্ছে।
আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যথেষ্ট দূরে রাখতে হবে এবং তাদেরকে এই ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে অবগত করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার
ওপরে এতক্ষণ আপনারা কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতি করে দিক সম্পর্কে জেনে আসলেন। কিন্তু এই গুলো ব্যবহার করে মানুষ এখন অনেক খারাপ কাজও করে বেড়াচ্ছে।
এর কারণে আমাদেরকে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার গুলো সম্পর্কেও ভালো মত জেনে রাখতে হবে। যদি আমরা এগুলো আগে থেকেই জেনে থাকি তাহলে তখন আমাদের দ্বারা এই অপব্যবহার গুলো হবে না।
অপরাধমূলক কাজ বেড়ে গেছে
যেহেতু ইন্টারনেট এর কারণে মানুষ সামনাসামনি কোন কিছু করে না অর্থাৎ সম্পূর্ণ নিজের পরিচয় গোপন রেখে এটা ব্যবহার করা যায় তাই এখানে অনেক বেশি অপরাধ করা হয়।
আর এরই ফলে মানুষ এখন এগুলো ব্যবহার করে অনেক বড় বড় অপরাধমূলক কাজ করে বেড়াচ্ছে। যায় কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করাটা বর্তমানে অনেক রিস্ক হয়ে গেছে।
যদিও মানুষ ভাবে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অপরাধ করলে হয়তো পুলিশ তাকে ধরতে পারবে না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল আপনি অপরাধ করলে অবশ্যই আপনাকে ধরা যাবে আপনার লোকেশন ট্র্যাক করে।
তাই আমাদেরকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে এবং আমাদের ছেলেমেয়েদেরকেও এগুলো সম্পর্কে সচেতন করতে হবে যাতে তারা এগুলো ব্যবহার করে কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজ না করে।
বাটপারি করা হচ্ছে
যদিও এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে ব্যবসা করা কিংবা লেনদেন অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে তারপরেও কিছু খারাপ লোকের কারণে এটা অনেক অপব্যবহার হচ্ছে।
এই খারাপ লোক গুলো মানুষের থেকে বাটপারি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিংবা বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে।
যখন আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর কাউকে বিশ্বাস করবেন এবং কোন প্রোডাক্ট কেনার জন্য আগে টাকা দিয়ে দিবেন তখন সেই ব্যক্তি যদি খারাপ কেউ হয় তাহলে আপনার টাকা সাথে সাথে সে নিয়ে নেবে।
এইভাবে মানুষ অনেক প্রোডাক্ট এবং টাকা-পয়সা বাটপারি করে হাতিয়ে নিচ্ছে। যদি আপনার টাকা পয়সা কখনো হাতিয়ে নেয় তাহলে অবশ্যই আপনারা সাইবার সিকিউরিটি এর সাথে যোগাযোগ করবেন।
আর হ্যাঁ ফেসবুকে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন আপনি কোন লেনদেন করবেন তখন যার সাথে লেনদেন করেছেন তারপর প্রফাইল অবশ্যই ভিজিট করে নিবেন।
আর যদি কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে থাকেন তাহলে সেই পেজ কিংবা সেই প্রোফাইল টি ভালোমতো দেখে নিবেন যে সেটা ভেরিফাইড কিনা। যদি সেটি ভেরিফাইড হয় তাহলে নিশ্চিন্তে লেনদেন করা যাবে।
এইভাবে যদি আমরা সচেতন থাকতে পারি তাহলে খারাপ লোক গুলো খারাপ কাজ করতে পারবে না আবার সোশ্যাল মিডিয়া কেউ অপব্যবহার করতে পারবে না।
ভুয়া নিউজ প্রচার
এখন শতশত পেজ কিংবা প্রোফাইল আছে যারা প্রতিনিয়ত ভুয়া খবর প্রচার করে যাচ্ছে। আর এই ভুয়া খবর এর পাল্লায় পড়ে অনেক মানুষ অনেক দুশ্চিন্তায় বলে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কে অবব্যবহার করার মাধ্যমে। এমন কোন ঘটনা সেখানে প্রতিনিয়ত শেয়ার করা হচ্ছে যেটা কখনো পৃথিবীতে ঘটেই নি।
যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর মধ্যে এই ভুয়া নিউজ গুলো প্রচারকারীকে খুব সহজে ধরা যায় না তাই যে কেউ এখানে যেকোনো ধরনের নিউজ প্রচার করতে পারে।
এই কারণে আমাদেরকে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিউজ বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। শুধুমাত্র যে সমস্ত ভেরিফাইড বা সরকারি নিউজ চ্যানেল বা পেজ রয়েছে সেগুলোকে ফলো করতে হবে।
যদি আমরা এগুলোকে ফলো করে সেগুলো নিউজ অনুসরণ করি তাহলে আর ভুয়া নিউজ এর খপ্পরে পড়তে হবে না।
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা
যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন বিষয়ে পোস্ট করলে খুব দ্রুত সেটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে মানুষকে ব্ল্যাকমেল করে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় মানুষের খারাপ ছবি কিংবা ভিডিও ধারণ করে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুমকি দিয়ে তাদের থেকে টাকা আদায় করে।
এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার গুলোর মধ্যে অন্যতম। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম না থাকতো তাহলে মানুষকে এই ধরনের বিষয় নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে পারত না।
যদি আপনার সাথে কখনো এইরম ঘটনা ঘটে তাহলে দ্রুত সাইবার সিকিউরিটি এর সাথে যোগাযোগ করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আর কোন সমস্যা হবে না।
আর হ্যাঁ নিজের কোন ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও কখনোই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন না বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কাউকে দিবেন না। তাহলে আপনি এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার থেকে মুক্তি পাবেন।
পরিশেষে
আজকের এই মূল্যবান পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি।
এখানে আমরা মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার এই দুটি টপিকে বেশি আলোচনা করেছে।
যেহেতু ইন্টারনেটের যুগে অপরাধমূলক কাজ খুব দ্রুত বেড়ে চলেছে তাই এগুলোকে আটকানো বা এগুলো থেকে দূরে থাকা আমাদের সকলেরই উচিৎ।
যদি আমরা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক গুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি তাহলেই আমরা জীবনে সফল হতে পারব। এই কারণে অবশ্যই আমাদেরকে এগুলো বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
মনে রাখতে হবে প্রতিটা জিনিস দিয়েই ভালো কিছু করা সম্ভব আবার খারাপ কিছুও করা সম্ভব। আর এই কথাটা সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেট এর ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিমাণে খেটে যায়।
কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অসংখ্য ভালো কাজ করা সম্ভব আবার অসংখ্য খারাপ কাজ করাও সম্ভব। এখন আমরা কোন কাজ করব বা আমরা কিভাবে এটিকে ব্যবহার করব সেটা সম্পূর্ণ আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
তাই আপনার আশেপাশে মানুষকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার গুলো সম্পর্কে সচেতন করবেন এবং আপনি নিজেও সচেতন হবেন তাহলেই আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারব এবং আমাদের দেশ কে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।