যমজ সন্তান লাভের দোয়া শিখে নিন (পরিক্ষীত)
আসসালামু আলাইকুম আপনি কি যমজ সন্তান লাভের দোয়া এবং যমজ সন্তান কেন হয় এগুলো সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক?
যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে আজকের পোস্ট আপনার জন্য। আজকের উদাহরণ ডটকম এর এই পোস্টে আমরা যমজ সন্তান লাভের দোয়া পরবর্তীতে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেব।
আমরা অনেকেই চাই যে আমাদের দুইটি সন্তান যেন একবারে হয়। এর জন্য আমরা অনেক ধরনের চিকিৎসা করে থাকি এবং অনেক ধরনের আমল ও করে থাকি ।
যদিও বিভিন্ন কাজ করা আমাদের যমজ সন্তান হয় না। তবে আমরা আজকে আপনাদের কে যে যমজ সন্তান লাভের দোয়া টি শিক্ষা দেব এটা পালন করলে আশা করি আপনার যমজ সন্তান হবে।
যমজ সন্তান কেন হয়
অনেকের মনে এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খায় যে যমজ সন্তান কেন হয় ? তাদের উদ্দেশ্যে এই পোষ্টের মধ্যে আমি বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেব।
মনে রাখবেন যখন কোন ডিম্বাণুর সাথে শুক্রানু মিলিত হয়ে যাইগোট সৃষ্টি করে তখনই কোন একটি জীবিত সন্তানের এর জীবন হওয়া শুরু হয়।
[su_box title=”পড়তে পারেন” style=”noise” box_color=”#3b9ff7″] [/su_box]আর এই ডিম্বাণু তৈরি হয় মহিলাদের থেকে আর শু’ক্রানু টি তৈরি হয় পুরুষদের থেকে। এই কারণেই কোন সন্তান পেতে হলে পুরুষ এবং নারী মিলিত হতে হয়।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন জনের যমজ সন্তান বা দুইটি সন্তান একবারে হয়ে যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে এই যমজ সন্তান কেন হয়।
যদিও যমজ সন্তানটি শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার ইচ্ছাই হয়ে থাকে কিন্তু তারপরেও এখানে বৈজ্ঞানিক একটা স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে আর সেটা হল:
যখন গর্ভে দুটি ডিম্বাণু তৈরি হয় এবং সেখানে দুইটি শুক্রাণু গিয়ে জাইগট সৃষ্টি করে তখনই একটি গর্ভে দুইটি যমজ বাচ্চার সৃষ্টি হয় ।
যমজ সন্তান লাভের দোয়া
মনে রাখবেন এই সৃষ্টি জগতের সবকিছুই চলে একমাত্র আল্লাহ তাআলার নিয়ন্ত্রণে। আর তিনিই একমাত্র যার কোন শরীক নেই।
এটা বলার কারণ হচ্ছে যদি আমরা কখনো কোন কিছু চাই তাহলে অবশ্যই সেই মহান আল্লাহ তাআলার কাছেই চাইতে হবে। অনেকেই দেখা যায় বিভিন্ন বাবা বা বিভিন্ন মানুষের কাছে যায় সন্তান লাভের উদ্দেশে।
তো যদি আপনি অন্য কারো কাছে এই সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে যান তাহলে সেটা অবশ্যই শিরক হবে আর আল্লাহ তায়ালা এই শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না।
আর মহান আল্লাহ তাআলার কাছে কোন কিছু চাওয়ার মাধ্যম যেহেতু দোয়া এই কারণে আমাদেরকে অবশ্যই এই যমজ সন্তান লাভের দোয়া গুলো চর্চা করতে হবে।
যদি আমরা প্রতিনিয়ত আল্লাহ তায়ালার কাছে যমজ সন্তান লাভের দোয়া করতে থাকি, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপরে সন্তুষ্ট হয়ে মনের আশা পূরণ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
১ নং যমজ সন্তান লাভের দোয়া
এখানে আপনাকে একটি কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালার কাছে যমজ সন্তান লাভের জন্য দোয়া করতে হবে।
যদি মন থেকে খালেস নিয়তে এই আয়াতটি সঠিকভাবে তেলাওয়াত করতে থাকি তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাহলে আপনার ডাক শুনবে।
এই কোরআনের আয়াতটি তেলাওয়াত করার নিয়ম হচ্ছে আপনাকে যমজ সন্তান লাভের জন্য আগে রোজা পালন করতে হবে মোট তিনটি।
এই তিনটি রোজা পালন করার সময় অবশ্যই মনে মনে আল্লাহ তায়ালার কাছে যমজ সন্তান চাইতে হবে।
যমজ সন্তান চাইতে চাইতে আল্লাহর শানে যে আয়াত টি তেলাওয়াত করবেন সেটা হচ্ছে আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা যুররি E ইয়াতান তই ইবাহ।
তবে হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাকে কিন্তু অবশ্যই আল্লাহ তাআলার উপর সম্পূর্ণ ভরসা রেখে স্বামীর সাথে মিলন করতে হবে এবং রোজা তিনটি পালন করতে হবে।
এই যমজ সন্তান লাভের দোয়াটির ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে রোজা করার সময় প্রতিদিন কমপক্ষে নয় শতবার করে আপনি উক্ত আয়াতটি তেলাওয়াত করবেন।
এখানে চাইলে আপনার এই তিনটি রোজা যমজ সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে আপনার স্বামীও থাকতে পারে কিংবা স্ত্রীও থাকতে পারেন।
উক্ত আমল টি নিয়মিত করার পরে আপনাদের দুইজনকে মিলিত হতে হবে এবং দোয়া করতে হবে আল্লাহর কাছে। যেহেতু যমজ সন্তান হবে কিনা এটা সম্পূর্ণ আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা।
এই কারণে অবশ্যই তার ওপর ভরসা করতে হবে এবং তিনি যদি আপনাকে যমজ সন্তান নাও দেয় তাও মন খারাপ করা যাবে না ।
আরেকটি যমজ সন্তান লাভের দোয়া
অপরের আপনাদেরকে যমজ সন্তান লাভের দোয়া যেভাবে করতে বলা হয়েছে এখন একটু ভিন্নভাবে এবং আরেকটি কোরআনের আয়াত দিয়ে আমরা যমজ সন্তান লাভের দোয়া করব।
যদি আপনাদের তিনটি রোজা রাখতে এবং ওই দোয়াটি পড়তে খুব বেশি কঠিন মনে হয় তাহলে এখন আমি যেভাবে বলব সেভাবে আপনারা দোয়া করবেন ।
এই দোয়াটি হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম আল্লাহ তায়ালার কাছে করেছিলেন এবং আল্লাহ তালা তাকে সন্তান প্রদান করেছিলেন।
এই কারণে আমরা এখন দোয়াটি পড়বো এবং এই দোয়া পড়ার নিয়ম ও শিখিয়ে দেব । আরেকটি যমজ সন্তান লাভের দোয়া হলো : রব্বি হাবলি মিনাস সলিহীন।
এই দোয়াটি পড়া তুলনামূলকভাবে কিছুটা সহজ হয়েছে। উক্ত দোয়াটি আপনি প্রথমে ওযু করার পর খালেস নিয়তে যমজ সন্তান পাওয়ার উদ্দেশ্যে পড়বেন এবং কোন এক গ্লাস পানিতে ফু দিবেন ।
মনে রাখবেন দোয়াটি অবশ্যই ৭৫ বার পড়ার চেষ্টা করবেন এবং তারপর পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি আপনার স্বামী এবং স্ত্রী দুজনে পান করবেন।
যখনই আপনারা দুজন মিলিত হবেন তখনই এইভাবে দোয়াটি আমল করবেন এবং মনে মনে অবশ্যই আল্লাহর কাছে যমজ সন্তান চাইবেন।
এখানেও বলতে হচ্ছে আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে যমজ সন্তান দিবেন কিনা সেটা সম্পূর্ণ তার নিজের ইচ্ছা।
কিন্তু এরপরেও আমরা যদি আল্লাহর কাছে ভালোভাবে দোয়া করতে পারি তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া অবশ্যই কবুল করে নিবেন ইনশাল্লাহ।
যদি আপনারা উক্ত যমজ সন্তান লাভের দোয়াটি পড়েন তাহলে যদি আপনাদের যমজ সন্তান নাও হয় তবুও আল্লাহ তাআলা অবশ্যই আপনাদেরকে একটি নেক সন্তান দান করবে ইনশাল্লাহ।
যমজ সন্তান লাভের জন্য দোয়া করার পদ্ধতি
মনে রাখবেন আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করার সর্বশ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজের সময়। হাদিসে বর্ণনা পাওয়া যায় যে তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহতালার কাছে কিছু চাইলে তিনি কখনোই সেটা ফিরিয়ে দেন না।
এ কারণে আমরা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার পরে আল্লাহতালার কাছে সঠিক ভাবে যমজ সন্তান লাভের দোয়া করতে পারি তাহলে কিন্তু সেটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে ।
এই কারণে আপনারা সর্বপ্রথম তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিকভাবে নিয়ত করে নিবেন। আর অবশ্যই ফজরের নামাজের আগের সময়ে অর্থাৎ শেষ রাতের দিকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন।
এই তাহাজুত নামাজের সঠিকভাবে পড়ার পরে সুরা ফাতেহা পড়বেন আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর দুরুদ পড়বেন।
এগুলো করার পরে আল্লাহ তাআলার কাছে খালেস নিয়তে যমজ সন্তান লাভের জন্য দোয়া করবেন। যদি স্বামী স্ত্রী দুজনেই আল্লাহর কাছে দোয়া করেন তাহলে সেটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়।
কত সপ্তাহে যমজ বাচ্চা বুঝা যায়
পরে আপনাদেরকে যমজ সন্তান লাভের দোয়াটি খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক মা-বাবার মনে প্রশ্ন থাকে যে কত সপ্তাহে যমজ বাচ্চা বুঝা যায়।
তাদেরকেই এখন আমরা এটা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেব যে কত সপ্তাহে যমজ বাচ্চা বুঝা যায় ।
মনে রাখবেন যখন আপনার পেটে থাকা বাচ্চার বয়স ৮ থেকে দশ সপ্তাহ বা ৫৬ থেকে ৭০ দিনের মতো হবে তখন আপনি চাইলে বিভিন্ন সিস্টেম এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।
এখানে বিভিন্ন অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ হৃদস্পন্দন চেক করেই বলে দিতে পারেন যে সেখানে যমজ বাচ্চা আছে কিনা। তারা যখন দেখতে পায় যে দুইটি হৃদস্পন্দন শোনা যাচ্ছে তখনই নিশ্চিত হয় যে আপনার পেটে যমজ বাচ্চা আছে।
কিন্তু হ্যাঁ এটি যেহেতু একটি সাধারন পদ্ধতি তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যমজ বাচ্চা আছে কিনা সেটা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া নাও যেতে পারে।
যদি সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হতে পারে তাহলে ডাক্তার আপনাকে আল্ট্রা সাউন্ড স্ক্যান করার পরামর্শ দিতে পারে ।
পেটে থাকা বাচ্চার বয়স ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ হলে আলট্রাসনোগ্রাফি করার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারবেন যমজ বাচ্চা হয়েছে কিনা ।
পরিশেষে
আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদেরকে সুন্দরভাবে যমজ সন্তান লাভের দোয়া শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখানে আমরা বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আপনাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছি এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে ইনশাআল্লাহ আপনার যমজ সন্তান হবে ।
যমজ সন্তান লাভের দোয়া শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি এই যমজ সন্তান কেন হয় সেটাও আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে সর্বশেষ একটা কথাই বলবো আপনার কি রকম সন্তান হবে সেটা কিন্তু আল্লাহ তাআলা নির্ধারণ করবে তাই আল্লাহ যাই দেকনা কেন কখনোই তার উপর মন খারাপ করা যাবে না।
আল্লাহর ইবাদতগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে। আর তিনিই জানেন যে আপনার জন্য যমজ সন্তান ঠিক হবে নাকি একটি সন্তান ঠিক হবে।
তো আমাদের শেয়ার করা আজকের এই বিষয়গুলোর মধ্যে কিছু বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন কিংবা ফেসবুক পেইজে নক দিয়ে যেকোন প্রশ্ন করতে পারেন।
আর হ্যাঁ বন্ধুরা যদি আমাদের ওয়েবসাইটের এই ধরনের পোস্টগুলো আপনার কোন উপকারে এসে থাকে এবং প্রতিনিয়ত এই ধরনের ইনফরমেটিভ পোস্টের আপডেট পেতে চান তাহলে google নিউজে ফলো করে রাখতে পারেন।