শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত

ভালোভাবে জীবন-যাপন করতে হলে শিক্ষা সবারই অনেক বেশি প্রয়োজন। কিন্তু এখন যেহেতু ইন্টারনেটের যুগ তাই এই ইন্টারনেট এর প্রভাবে শিক্ষার প্রসার আরো ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এই কারণে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।

ইন্টারনেট আসার আগেও মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে কিন্তু তখন শিক্ষা গ্রহণ করা একটু কঠিন ব্যাপার ছিল। তবে ইন্টারনেট আসার পরে এর সুবিধা গুলো মানুষ পেয়ে অনেক বেশি অ্যাডভান্স হয়ে গেছে।

মানব সভ্যতার ইতিহাসে যতগুলো আবিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিস্ময়কর এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হয়েছে ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেট এর কারণে মানবজাতি কয়েকশো বছর এগিয়ে গেছে।

যদি আমাদের মাঝে ইন্টারনেট না থাকতো তাহলে হয়তো আমাদের জীবন যাপন করা এতটাও সহজ হতো না। যাই হোক চলুন আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার কি কি সেটা জেনে আসি।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা

শুধু মাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে নয় বর্তমানে ইন্টারনেট আসার পরে আমাদের দৈনন্দিন কাজে প্রতিটা কাজেই অনেক বেশি সুবিধা হয়েছে। আগে যে কাজ করতে অনেক বেশি কষ্ট পেতে হতো এখন সেই কাজ খুব সহজে করা যায় শুধুমাত্র ইন্টারনেট এর কল্যানে।

আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে জানব কিন্তু তারা আগে চলুন শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা গুলো সম্পর্কে কিছুটা জেনে আসি।

বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেটের অসংখ্য সুবিধা আছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে আমরা অনেক বেশি কঠিন পড়া গুলোকে খুব সহজেই আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারি।

এছাড়াও এই ইন্টারনেট আসার পর থেকে স্কুলে এবং কলেজে যে সকল শিক্ষা শিক্ষার্থীদেরকে প্রদান করা হয় সেগুলোর মধ্যে অনেক বেশি আপগ্রেড করা হয়েছে। এই ইন্টারনেট আছে জন্যই আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে এত বেশি সুবিধা গুলো পেয়ে থাকি।

আপনারা ভাবতেও পারবেন না যে ইন্টারনেট থাকার কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে কত বেশি পরিমাণের সুবিধা আমরা পেয়ে যাচ্ছি। যেহেতু ইন্টারনেট এসেছে তাই অনেকগুলো বই না পড়ে আমরা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের মধ্যে সহজে হাজার হাজার বই পড়তে পারে।

ইন্টারনেটের কল্যাণে শিক্ষার্থীরা এখন যে সকল জিনিস শিখতেছে সেগুলো একদম সঠিক এবং খুব সহজ ভাষায় শিখে যাচ্ছে যার কারণে এগুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম।

উপরে আমরা যে কয়েকটি শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা আপনাদেরকে বলেছি এগুলো ছাড়া আরো হাজার হাজার সুবিধা আছে যেগুলো আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ১০ টি ব্যবহার পয়েন্টে জেনে নেব।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব

যখন যে জিনিসটা থাকে না তখন আমরা সেই জিনিসের গুরুত্ব বুঝিনা। অর্থাৎ ইন্টারনেট আসার আগে কিন্তু আমরা এই ইন্টারনেটের গুরুত্বগুলো বুঝি নাই।

অর্থাৎ ইন্টারনেট আসলে কি হবে বা ইন্টারনেটের কারণে আমাদের জীবনযাত্রার কি ধরনের পরিবর্তন আসবে সেগুলো কিন্তু আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।

কিন্তু যখন এই ইন্টারনেট জিনিসটা আমাদের মাঝে চলে এসেছে তখনই আমরা ইন্টারনেটের গুরুত্বটা অনেক ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। যদি ইন্টারনেট এই পৃথিবীতে না আসতো তাহলে কিন্তু আমাদের জীবন থেমে থাকত না কিন্তু তখন জীবনটা একটু কঠিন হয়ে যেত।

তো এই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম । যদি ইন্টারনেট না থাকতো তাহলে আমরা অনলাইনের ঘরে বসে কখনো পাঠ দান গ্রহণ করতে পারতাম না।

এছাড়া ইন্টারনেট না থাকলে আমরা এত এত কঠিন পড়া গুলো খুব সহজে আয়ত্তে নিয়েও আসতে পারতাম না । ইন্টারনেট আছে জন্যই আমরা ঘরে বসে এখন শত শত বই পড়তে পারতেছি শুধুমাত্র একটি ক্লিকের বিনিময়।

এছাড়াও আমরা বিভিন্ন বিদেশের শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারতেছি শুধুমাত্র ইন্টারনেটের কল্যানে। এই বিদেশের শিক্ষাগুলো জেনে তারপর আমরা আমাদের জ্ঞান  প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারছি। তো এগুলো ছাড়াও আরো শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অনেক রয়েছে।

আমরা উপরে এই সংক্ষেপে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম এখন নিচে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটর ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নেব।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার

বন্ধুরা ইন্টারনেট আসার পরে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে কি ধরনের সুবিধা পেয়েছি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে তা কিন্তু সকলেরই জানা।

ইন্টারনেট না আসলে হয়তো আমরা কখনো বুঝতেই পারতাম না যে এত সহজেই শিক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে বা শিক্ষা ক্ষেত্রে এতকিছু পরিবর্তন আসবে। তারপরও এখন ও অনেক মানুষ আছে যারা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার গুলো বোঝেনা। তো চলুন নিচে এখন আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০ টি ব্যবহার গুলো একে একে জেনে নেই।

১. খুব সহজে বই পড়া

যখন ইন্টারনেট ছিল না তখন যদি কোন বই পড়তে চাইলে আপনাকে লাইব্রেরীতে গিয়ে সেই বইটি পড়তে হতো বা বইটি লাইব্রেরী থেকে কিনে নিয়ে আসে পড়তে হত।

যার ঘরে যে কয়টি বই আছে সে সেই কয়টি বই ছাড়া আর এর বেশি বই কোনভাবে পড়তে পারতো না। কিন্তু যেদিন থেকে পৃথিবীতে ইন্টারনেটের আবিষ্কার করা হয় তার কিছুদিনের মধ্যেই অনলাইনে মোবাইলের মধ্যেই এখন হাজার হাজার বই পড়া যায়।

পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন বই নেই যেটা ইন্টারনেটের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র একটি ক্লিক করার বিনিময়ে আমরা নিজেদের ইচ্ছামত যেকোনো বই পড়তে পারতেছি।

কিছুদিন আগেও এই বিষয়টি কল্পনা করা যেত না এখন আমরা সেটা বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি।  মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপ কিংবা ডেক্সটপে ই-বুক পিডিএফ ফাইলসহ আরও এই ধরনের যাবতীয় বিষয়গুলোর মাধ্যমে এখন যেকোনো বই পড়া খুব সহজ হাতের মুঠোয়  এসেছে।

২. ইনফো খুঁজে পাওয়া

যে যুগে মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট এর ব্যবহার ছিল না সেই যুগে কেউ মুখে মুখে না বললে কোন ধরনের ইনফরমেশন পাওয়া যেত না। এছাড়াও পড়াশোনার জন্য শুধুমাত্র বইয়ের মধ্যে যে ইনফো আছে সেটুকু ছাড়া বাহিরের কোন ইনফো হতো না।

কিন্তু যখনই আমাদের হাতে ইন্টারনেট চলে এসেছে তখনই আমরা বইয়ের ভিতরে ছাড়াও আরো অসংখ্য শত শত ইনফোগুলো খুব সহজে খুঁজে পাচ্ছি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে।

দেশ-বিদেশে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের ঘটনাগুলো যেটা আমাদের পরবর্তীতে পরীক্ষাতে কাজে লাগে সেগুলো আমরা মোবাইলের মধ্যে এক সেকেন্ডেই বের করে ফেলতে পারছে।

৩. অনলাইনে ক্লাস

যদিও ইন্টারনেট আসার পরেই এই প্রসারণটি শুরু হয় নাই । কিন্তু যখন ২০২০ সালে পুরো পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসে আক্রমণ করল তখন থেকে অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়টা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

আর এই অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়টা আসার পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে কত বড় পরিবর্তন এসেছে সেটা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। স্কুল কলেজ কিংবা কোন টিচারের কাছে না গিয়েই আমরা ঘরে বসেই যে কোন শিক্ষকের ক্লাস খুব সহজে করতে পারছি।

যদি শিক্ষার্থীরা এই ইন্টারনেট ব্যবহার না করে অনলাইনে ক্লাশ না করতো তাহলে তারা পড়াশোনায় অনেক বেশি পিছিযে যেত। এর কারণ হচ্ছে করোনা ভাইরাসের সময় সারা পৃথিবীর প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীরা কোন পাঠদান করতে পারছিল না।

তো সেই সময় ছাত্র-ছাত্রীরা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পড়াশোনা করে তাদের পড়াশোনায় অব্যাহত রেখেছিল এবং তারা আর পিছিয়ে যায়নি।

৪. একসাথে অনেককে পাঠদান

ক্লাস রুমে যখন খুব বেশি ছাত্র-ছাত্রী একসাথে ক্লাস করা হয় তখন সেখানে গ্যাঞ্জাম হয়ে যায় অনেক বেশি। আর এই গ্যাঞ্জামের কারণে রুমের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায় ও বেশি শব্দ সৃষ্টি হওয়ার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

কিন্তু যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে ক্লাস করা হয় তখন সেখানে যদি লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী একসাথে ক্লাস করে তাহলেও কোন সমস্যা হয় না। এটিও শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন।

যেহেতু ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেকে ক্লাস করার সময় কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। তাই সেখানে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক সবাই খুব মনোযোগ সহকারেই তাদের শিক্ষার কার্যক্রম গুলো চালাতে পারছে।

৫. ফ্রীতে পাঠদান

যখন ইন্টারনেট ছিল না সেই সময়ে বইয়ের কোন বিষয় না বুঝলে আমাদেরকে প্রাইভেট টিচারের কাছে গিয়ে সেটা বুঝে নিতে হত। আর এটার কারণে প্রাইভেট টিচারকে অনেক বেশি টাকা প্রদান করতে হতো।

যদিও এখনও অনেক শিক্ষার্থী প্রাইভেট এ গিয়ে পড়াশোনা করে । কিন্তু যদি তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে এই পড়াশোনা গুলো করত তাহলে তাদের কোন টাকা খরচ হইতো না।

ইদানিং ইউটিউবে গিয়ে যেকোনো বইয়ের যেকোনো অধ্যায়ের হাজার হাজার ক্লাস একদম ফ্রিতেই পাওয়া যায়। ভিডিও শেয়ারিং যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম আছে যেমন ইউটিউব ফেসবুক বা অন্যান্য সেগুলোতে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা হাজার হাজার ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করে রেখেছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য।

৬. সমানভাবে শিক্ষার্থীদের কে পাঠদান

যারা শহরে বসবাস করে সেখানে অনেক উন্নতমানের টিচারদের থেকে শিক্ষার্থীরা অনেক ভালোভাবে পড়াশোনা আদায় করে নিতে পারে। কিন্তু যারা গ্রামে থাকে তারা অত বেশি উন্নত মানের শিক্ষকদের কাছে পড়ার কোন সুযোগ পায় না।

আর যখন থেকে ইন্টারনেট আসার প্রচলন শুরু হয়েছে এবং মানুষ এটি বেশি ব্যহার করা শুরু করেছে তখন থেকেই সবাই সমান ভাবে শিক্ষকদের কাছে থেকে পাঠদান করতে পারছে।

অর্থাৎ এখন বড় কোন শহরের শিক্ষার্থী যে শিক্ষকের কাছ থেকে পড়াশোনা করতেছে আবার গ্রামে বসে থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রামের শিক্ষার্থীরা ওই একই শিক্ষকের কাছ থেকে পাঠদান নিতে পারছে।

৬. ভর্তির ব্যাপারে সহজ প্রক্রিয়া

যে সময় শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের কোন ব্যবহার হতো না সেই সময় ভর্তি হওয়ার জন্য সরাসরি স্কুলে কিংবা কলেজে গিয়ে ভর্তি আবেদন করতে হতো। তখন সেখানে গিয়ে অনেক ভিড় এবং গ্যাঞ্জাম হত আবার সেটা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল।

কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার আসার পর থেকে এখন স্কুল কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটি গুলো ইন্টারনেটের মধ্যেই তাদের ভর্তির সমস্ত কার্যক্রম গুলো কমপ্লিট করে থাকে।

আবার যেকোনো শিক্ষার্থী ঘরে বসেই তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করা ডিভাইসটির মাধ্যমে সেই ভর্তির কার্যক্রমগুলোতে অংশ নিতে পারছে। এই কারণে গ্রামে যারা আছে তারাও এখন বড় বড় শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের ভর্তির আবেদন করতে পারছে।

৭. বইয়ের বাহিরেও পড়াশুনা

যখন একজন মানুষের কাছে ইন্টারনেট এর এক্সেস চলে আসে তখন সে পুরো পৃথিবীর খবর নিতে পারে। আর এটি শুধুমাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নেওয়া সম্ভব।

যখন আমরা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিতে যাই সেখানে অনেক ধরনের প্রশ্ন আসে যেটা বইয়ের বাইরে থেকেও হয় অনেক সময়। যদি আমরা শুধু বইয়ের ভিতরের পড়াশোনা করি তাহলে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর কখনো পাবে না।

এই ইন্টারনেট আসার ফলে বইয়ের বাহিরে যত পড়াশোনা আছে বা জ্ঞান আছে । সেগুলো আমরা খুব সহজে অর্জন করতে পারছি এবং নিজের জ্ঞানের পরিসীমাটা বাড়িয়ে নিতে পারছি।

৮. বাহিরের দেশের পড়াশুনা সম্পর্কে জানা

যখন আমরা শুধুমাত্র নিজের দেশের পড়াশুনা গুলো নিয়ে ভাববো তখন খুব অল্প পরিমাণে বিষয় জানতে পারব।

কিন্তু যখন জানতে পারব যে বাইরের দেশের মানুষেরা কিভাবে তাদের পড়াশোনাগুনা চালিয়ে যাচ্ছে সেগুলো জানলে আমাদের পড়াশোনার মান অনেক বেড়ে যায়।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে শিক্ষার্থীরা অনেক এডভান্স লেভেলের পড়াশোনা করে আর সেই অনুযায়ী যদি আমরা সেগুলো দেখে তাদের প্যাটার্ন অনুযায়ী নিজের অধ্যয়ন পরিচালনা করে তাহলে আমরাও অনেক উন্নতি লাভ করতে পারব।

ইন্টারনেট আসার ফলে বাইরের দেশের পড়াশোনা সম্পর্কে খুব সহজে আমরা জানতে পারছি এবং আমাদের পড়াশোনার সিস্টেমটাকে আরো আপডেট করতে পারছি ।

৯. প্রজেক্টর এর মাধ্যমে পাঠদান

একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার বিষয়গুলো যদি প্রাক্টিক্যালি দেখিয়ে দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু তার পড়াশোনা গুলো মাথার মধ্যে ভালোভাবে ঢুকে যাবে।

তো ইদানিং দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ক্লাসরুমে প্রজেক্টর ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কে পড়ানো হচ্ছে। এই প্রজেক্টর ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা গুলো আরো ভালোভাবে বুঝতে পারছে এবং নিজের পড়াশোনাকে আরো ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারছে।

প্রজেক্টর ব্যবহার করে পড়াশুনা কিন্তু ইন্টারনেট আসার ফলেই সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বলা যায় ইন্টারনেট এর গুরুত্ব অনেক বেশি রয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে।

১০. ঠিক ভুল বিষয় বের করা

ইন্টারনেট না থাকলে আমরা যেটা পরবো সেটাই বুঝবো অর্থাৎ এই পড়াটাই ভুল নাকি শুধু সেটা যাচাই করার কোন উপায় নেই।

অনেক সময় দেখা যায় বইয়ের মধ্যে ভুল লেখা থাকে কিংবা শিক্ষকগণ কিছু ইনফরমেশন ভুল পরিয়ে দেয়। যখন বইয়ের বাহিরে কোন কিছু আমাদের হাতে থাকে না তখন সেই ভুলগুলো আমরা মুখস্থ করে যাই।

তবে ইন্টারনেট যেদিন থেকে এসেছে তারপরে আমরা যখন শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট এর ব্যবহার শুরু করেছি তখন থেকেই সুন্দরভাবে ঠিক ভুল বিষয়গুলো জানতে পারছি।

পরিশেষে

যদিও শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অসংখ্য ব্যবহার বর্ণনা করা সম্ভব।  তবে পাঠকরা যেহেতু শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০ তো ব্যবহার সম্পর্কে সার্চ করে থাকে এই কারণে আজকের পোস্ট এ আমরা মোট দশটি ব্যবহারই আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি।

ইন্টারনেটের এই দশটি ব্যবহার ব্যতীত যদি আরো কোন ব্যবহার আপনি জানতে চান তাহলে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন আমরা উত্তর দিয়ে দেবো।

বলাই যায় যে ইন্টারনেট আসার ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বেশি উন্নতি লাভ করেছে। শুধুমাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে নয় চিকিৎসা ক্ষেত্রে কিংবা কৃষি ক্ষেত্রে সব ক্ষেত্রেই এই ইন্টারনেট এর ব্যাপক প্রসারণ লক্ষ্য করা যায়।

আশা করি আজকের এই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা খুব ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন। কিছু বুঝতে না পারলে কমেন্টে জানাবেন আর চাইলে এই পোস্ট আপনার ক্লাসমেটের সাথে শেয়ার করে তাকে জানার সুযোগ করে দিতে পারে।

ভালো লাগতে পারে

Back to top button