জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল শিখে নিন (১০০% কার্যকারী)

আসসালামু আলাইকুম আপনি কি জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে উদাহরণ ডটকম এর আজকের পোস্ট আপনার জন্য লেখা হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালার থেকে পাওয়ার রহমতগুলোর মধ্যে সবথেকে বড় রহমত হচ্ছে বাচ্চা। হাদিসে এসেছে আল্লাহ তাআলা যাকে বেশি ভালোবাসে তাকে বেশি বাচ্চা প্রদান করে। তবে অনেকেই চায় যে তাদের জমজ বাচ্চা হোক।

জমজ বাচ্চা মানে হচ্ছে একসাথে দুইটি বাচ্চা হওয়া। তো আজকের এই পোস্ট পড়লে আপনারা জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন।

জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল

আমাদের মধ্যে অনেকে দম্পতি আছে যারা জমজ বাচ্চা চায় যাতে তাদের একবারে দুইটি সন্তান হয়ে যায়। এর জন্য অনেকেই গুগলে জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল লিখে খোঁজাখুঁজি করেও হয়তো পান নাই।

তো আমরা আজকের এই পোস্টে মোট দুইটি আপনাদেরকে পরীক্ষিত জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল দেখিয়ে দেবো যেগুলো কোরআন মাজীদ দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমল গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল নাম্বার ১

আপনাকে একটি কুরআনের আয়াত অনেক বেশি বার তেলাওয়াত করতে হবে। আমি আপনাকে আয়াত টি পরে জানিয়ে দিচ্ছি তার আগে আয়াতটি পাঠ করার নিয়ম এবং অন্যান্য নিয়মগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছি।

আপনার যখন মানছি হবে তার কিছুদিন পর যখন আপনি ভালো হয়ে যাবেন এবং স্বামীর সাথে কাছাকাছি আদর করবেন। সেই সময় এ টানা তিনটি রোজা করবেন। এখানে স্বামীও চাইলে করতে পারবে আবার স্ত্রীও চাইলে এই রোজা তিনটি করে নিতে পারবে।

কিন্তু রোজা করার সময় অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার উপর তাওয়াক্কুল করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার প্রতি সম্পূর্ণরূপে ভরসা করতে হবে। যখন রোজা অবস্থায় থাকবেন তখন উক্ত আয়াতটি কমপক্ষে দিনে ৯০০ বার করে তেলাওয়াত করতে থাকবেন।

অর্থাৎ আপনি আল্লাহ তাআলার প্রতি ভরসা রেখে মন থেকে জমজ বাচ্চা চেয়ে তিনটি রোজা করবেন এবং রোজা অবস্থায় আয়াতটি 900 বার করে দিনে তেলাওয়াত করবেন। এভাবে তিন দিন রোজা থাকা অবস্থায় তেলাওয়াত করে যাবেন।

আয়াতটি হলো: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা যুররি E ইয়াতান তই ইবাহ।

এই জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল টি চাইলে স্ত্রীও করতে পারবে অথবা স্বামী ও করতে পারবে। কিন্তু অবশ্যই আল্লাহ তাআলার প্রতি ভরসা রাখতে হবে এবং খালেছ নিয়তে আমল করতে হবে।

এভাবে আমল করার পর আপনি আপনার স্বামীর সাথে সহ**বাস করবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যদি চায় তাহলে আপনার জমজ বাচ্চা হয়ে যাবে। এখানে বলে রাখা ভালো আপনার জমজ বাচ্চা হবে নাকি একটি বাচ্চা হবে এটা সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার উপর নির্ভরশীল।

এই কারণে আল্লাহ তাআলার উপর থেকে বিশ্বাস হারানো যাবে না । সব সময় আল্লাহকে খুশি করার চেষ্টা করতে হবে করতে হবে তাহলে তিনিও আপনাদের মনের আশা পূরণ করে দেবেন ইনশাল্লাহ। এই আমলটি কুরআন মাজিদ দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে তাই নিশ্চিন্তা আপনি আমলটি করতে পারেন। তবে হ্যাঁ আল্লাহু আপনাকে যমজ বাচ্চা না দিলেও ইনশাআল্লাহ আপনার একটি নেককার বাচ্চা দিয়ে দেবে।

জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল নাম্বার ২

উপরে আমরা একটি জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু ওই আমলটি একটু কঠিন রয়েছে তবে এখন আমরা যে আমলটি আপনাদেরকে শিখিয়ে দেবো এটা তুলনামূলকভাবে সহজ রয়েছে।

আপনারা যারা উপরের উল্লেখিত জমজ বাচ্চা হওয়ার আমলটি করতে পারবেন না তারা চাইলে এখন আমি যেভাবে আপনাদেরকে আমল শিখিয়ে দেবো চাইলে সেটাও করতে পারেন।

এই আমলটিও অনেক পরিক্ষিত একটি আমল। তো চলুন কথা না বারিয়ে এখন আমরা উক্ত আমলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

এখানেও একটি কোরআনের আয়াত দিয়ে আপনাকে আমল করতে হবে। এটি হযরত ইব্রাহীম আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও করেছেন এবং তিনি ফলাফল পেয়েছেন। কোরআনের আয়াতটি আপনাকে সহ**বাস করার দিন গুলোতে তেলাওয়াত করতে হবে।

শুধুমাত্র সেদিনই নয় আপনি প্রেগনেন্সি হওয়ার আগে একটি নিয়মিত তেলাওয়াত করবেন। কমপক্ষে টানা তিন মাস আয়াত টি নিয়মিত ৭৫ বার করে তেলাওয়াত করলে ইনশাল্লাহ ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

  • ২ নং আমলের আয়াতটি হল: রব্বি হাবলি মিনাস সলিহীন।

আপনারা কমপক্ষে দিনে 75 বার আয়াতটি তেলাওয়াত করে তারপর পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি পান করাবেন। যিনি স্ত্রী তিনি এই কাজটি করবেন। আরে হ্যাঁ যখন আপনি এই আয়াতটি তেলাওয়াত করতে থাকবেন তখন অবশ্যই মনে মনে জমজ বাচ্চা হওয়ার কথা চিন্তা করতে থাকবেন।

মনে রাখতে হবে আল্লাহ তাআলা কিভাবে বাচ্চা দিবেন , তিনি জমজ বাচ্চা দিবেন নাকি একটি বাচ্চা দিবেন সেটা সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহ তাআলাকে খুশি করতে পারি এবং তার বলা আমলগুলো নিয়মিত করতে পারি তাহলে আমাদের মনের আশা গুলো পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

এই কারণে অবশ্যই উপরে দেখানো জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল গুলো আপনারা নিয়মিত করবেন। এখানে আমরা দুইটি আমল শিখিয়ে দিয়েছি আপনারা চাইলে যে কোন একটি আমল করতে পারেন। যদি রোজা রাখতে সমস্যা হয় তাহলে দুই নম্বর আমলটি আপনার জন্য পারফেক্ট ।

যদি সঠিকভাবে এই আমল গুলো করতে পারেন তাহলে আপনার জমজ বাচ্চা না হলেও ইনশাল্লাহ একটি নেককার বাচ্চা আল্লাহতালা আপনাকে দিয়ে দিবে।

জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল নাম্বার ০৩

উপরে আমরা ছোট ছোট আমল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কিন্তু এখন না আপনাকে যেভাবে আমল করতে বলব সেভাবে যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ আপনাকে নিরাশ করবেননা।

জন্ম-মৃত্যু রিজেক দৌলত সবকিছু আল্লাহর হাতে। এই কারণে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই আমাদেরকে সন্তান চাইতে হবে। যদি আমরা সঠিক পন্থা অবলম্বন করে আল্লাহর কাছে চাই তাহলে তিনি অবশ্যই দিবেন। নিচে আমল গুলোর বর্ণনা দেয়া হলোঃ

✓ জমজ বাচ্চা পাওয়ার মনের আশা পূরণ করার জন্য অবশ্যই স্বামী স্ত্রী দুজনকেই নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।

✓ তাহাজ্জুত নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে খালেস নিয়তে কোন কিছু চাইলে তিনি কখনোই সেটা ফিরিয়ে দেন না। এই কারণে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে। এখানে চাইলে দুইটা দোয়া করা যেতে পারে আর দোয়া দুটি হলো:

✓ সঠিকভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার পরে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করার আগে এখানে আর কিছু আমল করে নিতে হবে তাহলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকবে । দোয়া করা আগের আমল গুলি নিচে দেওয়া হল:

  • তিনবার তওবা পড়তে হবে । তওবাটি হলো (আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবি ইলাইহি ) অবশ্যই আপনারা google এ সার্চ করে এই তওবাটি আরবিতে সঠিক উচ্চারণ গুলো জেনে নিবেন।
  • তিনবার অবশ্যই দুরুদ ( সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) পরে নিবেন। কারণ দোয়া করার আগে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর দরুদ পড়লে সেটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • একটি দোয়া আছে আস্তাগফিরুল্লাহ। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার পরে দোয়া করার আগে অবশ্যই এই আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে নিতে হবে তিনবার।

উপরে যে তিনটি দোয়ার কথা আমরা আপনাদেরকে বললাম এই দোয়াগুলো আল্লাহ তায়ালার কাছে কোন কিছু চাওয়ার আগে পাঠ করলে সেটা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এই কারণে তাহাজ্জুত নামাজ পড়ে দোয়া করার আগে অবশ্যই উক্ত দোয়া গুলো পাঠ করে নিবেন।

✓ দোয়া করার সময় সূরা ইমরান এর ৩৮ নম্বর আয়াতটির কিছু অংশ তেলাওয়াত করতে হবে। আয়াতটির অংশ হলো: هَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّکَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ

আয়াতের অর্থ হল হে আমার রব আমাকে উত্তম ও নেক সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি সব প্রার্থনা শ্রবণকারী।

এর সাথে সূরা আম্বিয়ার 89 নম্বর আয়াত টি ও তেলাওয়াত করা যেতে পারে। সেটা হলো: رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ

এর অর্থ হল হে আল্লাহ বা হে আমার রব আপনি আমাকে একা রাইখেন না নিশ্চয়ই আপনি সর্বপ্রথম উত্তরাধিকারী।

✓ সব থেকে বড় কথা হল কখনো কোন মাজার কিংবা দরবারে গিয়ে সন্তান চাওয়া যাবে না। আমরা উপরে যে সমস্ত জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল জানিয়ে দিয়েছি এগুলো আমল করে সব সময় আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে হবে। যদি সঠিকভাবে চাওয়া হয় তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মনের আশা পূরণ করে দেবে।

আপনারা উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী বেশি বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালার কাছে জমজ বাচ্চা চাইবেন তাহলে তিনি অবশ্যই আপনাকে সেটি প্রদান করবেন। শুধুমাত্র জমজ বাচ্চা নয় যাদের কোন সন্তান নেই তারাও উক্ত নিয়ম অনুযায়ী আমল করে সন্তান লাভ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

শেষ কথা

পোষ্টের মধ্যেই বলা হয়েছে জন্ম এবং মৃত্যু সম্পূর্ণ আল্লাহর। যদি আপনার ভাগ্যে আল্লাহ তা’আলা জমজ সন্তান লিখে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু এরপরও আপনি জমজ বাচ্চা হওয়ার আমল গুলো নিয়মিত করে যাবেন তাহলে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আপনার উপর সন্তুষ্ট হবেন।

আর যদি আপনার উপর আল্লাহ তায়ালা একবার সন্তুষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনি যেটাই চাইবেন সেটাই তিনি দিয়ে দিবেন। উপরে আমরা মোট তিনটি জমজ বাচ্চা হওয়ার আমার জানিয়ে দিয়েছি। এখান থেকে তিন নম্বরে তাহাজ্জুদ নামাজ এর মাধ্যমে চাওয়ার যে আমলটি বলা হয়েছে সেটি আপনারা বেশি বেশি করবেন।

এর কারণ হলো, হাদিস থেকে পাওয়া যায় তাহাজ্জুত নামাজ পড়ে সঠিক নিয়্যতে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি কখনোই কাউকে খালি হতে ফিরিয়ে দেন না। তো আমাদের আজকের এই যমজ বাচ্চা হওয়ার আমল গুলো করে আপনার কোন কাজ হয়েছে কিনা সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে সেটা কমেন্টে জানাতে পারেন কিংবা আমাদের ফেসবুক পেইজে নক দিয়েও জিজ্ঞেস করতে পারেন।

ভালো লাগতে পারে

Back to top button