কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায় বিস্তারিত

আসসালামু আলাইকুম আপনি কি জানতে চান কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায়? যদি জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে আজকের উদাহরণ ডটকম পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন লাইন মিস করা যাবে না।
বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা সুন্দরভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এটা শেয়ার করব যে কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায় । টাকা আমরা সবাই পছন্দ করি।
টাকা ছাড়া আমাদের একদিনও চলবে না। এই কারণে আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করি। তবে অবশেষে অনেক জায়গায় ধোকা খেয়ে টাকা আর ইনকাম করতে পারি না ।
কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায়
অনলাইনে অনেকে আছে যারা বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করে থাকে যে কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায়। কিন্তু বন্ধুরা আপনারা হয়তো ভালো পোস্ট খুঁজে পান নাই যেখান থেকে এটি জেনে নিবেন।
তবে যদি আপনি আজকের পোস্ট সুন্দরভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পারেন তাহলে এটা জানতে পারবেন যে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেওয়ার নিয়ম কি।
কিন্তু এখানে আপনাকে বুঝতে হবে যে ২৬ হাজার টাকা কিন্তু অনেক টাকা। এই ২৬ হাজার টাকা নিতে হলে ফ্রিতে নিলেও আপনাকে একটু কষ্ট করে নিতে হবে।
তবে আজকের পোস্ট এ বলা নিয়ম গুলো যদি আপনি সুন্দরভাবে অনুসরণ করে কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নিতে পারবেন খুব সহজে।
নিচে বলা হলো যে কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায় ?
বিকাশ রেফার করার মাধ্যমে
মনে রাখবেন বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ এবং সবথেকে বড় ব্যাংকিং হচ্ছে বিকাশ।
এছাড়াও এই বিকাশ এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজে অনেক টাকা ফ্রিতে ইনকাম করতে পারব। যদি আপনি বিকাশ রেফার বিষয়টা ভালো মতো বুঝে থাকেন তাহলে এই টাকা ইনকাম করার সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য।
তবে এর জন্য আপনার কোন টাকা খরচ না হলে আপনাকে কিন্তু অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে টাকাটি পাওয়ার জন্য। এটা মনে রাখতে হবে যে পরিশ্রম না করলে কখনোই কোন টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয় না।
কিন্তু বন্ধুরা যদি আপনারা বিকাশে রেফার করার মাধ্যমে টাকা আয় করেন তাহলে কিন্তু সেখানে কষ্ট অনেক কম হবে । আবার অনেক কম সময় ব্যয় করে খুব ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করে নিতে পারবেন।
কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায় এই প্রশ্নের প্রথম উত্তরই হচ্ছে এই বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে রেফার করা। এখানে সর্বপ্রথম এ আপনাকে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে হবে বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে।
মনে রাখবেন এখান থেকে টাকা আয় করতে হলে কিন্তু আপনাদের বিকাশ অ্যাপ এর প্রয়োজন হবে। তো বিকাশ একাউন্ট খোলার পর সেখান থেকে আপনার বিকাশ এর রেফার লিং”ক কপি করে নিতে হবে।
রেফার এর ওই লিং’কটি নিয়ে মানুষকে আপনার লেফার লি’ঙ্ক থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে তাদের একাউন্ট খুলে দিতে হবে। এভাবে আপনি যদি সম্পূর্ণ একটি রেফার করিয়ে একটি একাউন্ট খুলে দিতে পারেন তাহলে সেখান থেকে ১০০ টাকা পাবেন।
এভাবে যতজনকে আপনি রেফার করিয়ে একাউন্ট খুলে দিবেন সবার থেকে সাথে সাথে ১০০ টাকা করে বোনাস পেয়ে যাবেন আপনার বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে।
এভাবে রেফার করতে থাকলে কিন্তু আপনার আলাদা কোন টাকা খরচ হবে না অর্থাৎ আপনি ফ্রি তে টাকাগুলো ইনকাম করে নিতে পারবেন।
আফ্লিয়েট মার্কেটিং করে
মনে রাখবেন ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য আরো অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে আফ্লিয়েট মার্কেটিং করা । এই মার্কেটিং করতে হলে আপনারা আলাদা করে কোন ধরনের টাকা প্রয়োজন হবে না।
আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করত কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায় তাহলে আমি তাকে এই উপায় টি বলে দিতাম। কারণ এটি অনেক সহজ একটি উপায়।
আপনারা চাইলে বিভিন্ন ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি থেকে এই মার্কেটিং করতে পারেন কিংবা বিভিন্ন ধরনের এডুকেশনাল প্ল্যাটফর্ম এর থেকেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
আপনি যে কোম্পানির সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন প্রথমে সেই কোম্পানির ওয়েব সাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। এরপর তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর নিচে গিয়ে সেখানে দেখবেন এফিলিয়েট লিং’ক আছে।
তো আপনাকে ওই লিং’ক গুলো নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করার মাধ্যমে মানুষকে কোর্সকে কেনাতে হবে। তাহলে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের একটা অর্থ উপার্জন করে নিতে পারবেন ।
টেন মিনিট স্কুল সহ আরো অনেক বড় বড় এডুকেশনাল প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে সবাইকে।
তো আপনারাও এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে ফ্রিতে টাকা নিয়ে নিতে পারেন। আশা করি আরও একটি উপায় পেয়ে গেছেন যে কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায় সেটার।
দারাজ এ মার্কেটিং করে
মনে রাখবেন দরাজ এমন একটি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রায় সব ধরনের শপিং প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। এখান থেকে মানুষ অনলাইনে যে কোন কিছু কিনতে পারে।
তো দরাজ গেলে দেখবেন সেখানে এই এফলয়েট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তো আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে বাছাই করতে হবে যে বর্তমানে কোন প্রোডাক্ট মানুষ বেশি কিনতেছে।
এগুলো বাছাই করে সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রোডাক্ট গুলো থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য লিঙ্কগুলো কালেক্ট করবেন । তবে তার আগে কিন্তু অবশ্যই দারাজ এর ওয়েবসাইটে একটি ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে।
এভাবে এফিলিয়েট লিংকগুলো আপনারা ফেসবুকে কিংবা বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার দিবেন। এছাড়াও বিভিন্ন শপিং গ্রুপ আছে সেগুলোতেও আপনারা শেয়ার দিতে পারেন তাহলে সব থেকে বেশি ভালো লাভবান হবেন।
মনে রাখবেন দারাজ কিন্তু এই এফিলিয়েট করা মানুষদেরকে বর্তমানে বেশ ভালো কমিশন দিচ্ছে। আপনিও যদি এখানে দীর্ঘমেয়াদী আফ্লিয়েট করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে এখান থেকে আরো বেশি টাকা ফ্রিতে নিতে পারবে।
ড্রপ শিপিং করে
ফ্রিতে টাকা নেওয়ার জন্য আরো অনেক ভালো একটি উপায় হচ্ছে ড্রপ শিপিং করা। মনে রাখবেন এই ড্রপ সেপিং করতে হলে আপনাকে কিন্তু এক টাকাও খরচ করতে হবে না কোথাও।
ড্রপ শিপিং হচ্ছে ধরুন আমি বড় একটি ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট অন্য একজনের কাছে সেল দিচ্ছেন মডেলম্যান হিসেবে। অর্থাৎ এখানে প্রোডাক্ট টি আপনাকে কনতে হচ্ছে না কিংবা আপনার কাছেও প্রোডাক্ট থাকতে হচ্ছে না।
কিভাবে আপনারা ড্রপ শিপিং গুলা খুব সহজে করতে পারবেন ফ্রিতে। যদি ড্রপ শিপিং করতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে একটি ফেসবুক পেজ কিংবা একটি ওয়েবসাইট খুলে নিবেন।
এরপর সেখানে আপনি বড় ওয়েবসাইট থেকে ভালো ভালো প্রোডাক্টগুলো কালেক্ট করে সেগুলোর পোস্ট দিবেন আপনার পেইজে। পেইজে ভালো করে পোস্ট দিলে কিন্তু আপনি কাস্টমার পাবেন যারা আপনাকে প্রোডাক্ট নেওয়ার জন্য নক দিবে।
তো তারা যখন আপনার কাছে প্রোডাক্টটি নেওয়ার জন্য অর্ডার করবে তখন আপনি ওই বড় ই কমার্স ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টটি অর্ডার করে আপনার ওই কাস্টমারের লোকেশনে পাঠিয়ে দিবেন।
এভাবে করলে কাস্টমার ও সঠিক টাইমে প্রোডাক্টটি পেয়ে যাবে এবং আপনি আপনার ইচ্ছা মত লাভ রেখে এই প্রোডাক্টগুলো সেল করতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ড্রপ শিপিং করার সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে বিডিশপ । এই বিডি সপ আলাদা একটি ওয়েবসাইট খুলেছে তাদের ড্রপ সিপারদের জন্য ।
এখানে আরো একটি বড় সুবিধা হচ্ছে তারা তাদের নরমাল ওয়েবসাইট থেকে ওই ড্রপ শপ ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট গুলোর দাম আরো অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এই কারণে সেখান থেকে আপনারা সব থেকে বেশি লাভবান হবেন।
এছাড়াও আপনারা চাইলে দারাজ অনলাইন শপ এর মাধ্যমে ড্রপ শিপিং করতে পারেন কিংবা বাইরের দেশের বড় বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো থেকেও ড্রপ শিপিং করতে পারবেন ।
শেষ কথা
আজকের পোস্টে আপনাদেরকে এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া হয়েছে যে কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায়? আমরা পোষ্টের মধ্যে প্রশ্নটির যে কয়টি উত্তর দিয়েছি এর মধ্যে কোনোটি করতে কিন্তু আপনার আলাদা করে টাকা খরচ হবে না ।
অর্থাৎ আপনি যে উপায় অবলম্বন করেই এই ফ্রিতে টাকা ইনকাম করেন না কেন শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
যদি পরিশ্রম করে এর যে কোন একটি কাজ আপনি ঠিকমতো করতে পারেন তাহলে এখানে ফ্রিতে টাকা পাওয়া সহ ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এগুলো থেকে।
তো আশা করি আপনার বুঝে গেছেন যে কিভাবে ২৬ হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায়। আমি এটাও আশা করি যে আমার দেখানো পথগুলো অবলম্বন করে সঠিকভাবে কাজ করলে আপনারা শুধু মাত্র ২৬ হাজার নয় বরং আরো অনেক বেশি টাকা এখান থেকে ফ্রিতে নিতে পারবেন।